দশম শ্রেণী ভৌতবিজ্ঞান প্রথম পার্বিক মূল্যায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ Topic

দশম শ্রেণী ভৌতবিজ্ঞান প্রথম পার্বিক মূল্যায়নের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ Topic

পরিবেশের জন্য ভাবনা:-

মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার, ম্যাগনেটোস্ফিয়ার, ওজোন স্তরের সাম্যাবস্থা (বিক্রিয়াসহ), ওজোন স্তরের অবক্ষয়ের কারণ (বিক্রিয়াসহ), গ্রিনহাউস প্রভাব প্রশমনের উপায়সমূহ, জ্বালানির তাপনমূল্য, স্থিতিশীল উন্নয়ন, বিকল্প শক্তিসমূহ, CBM (Sweet Gas), মিথেন হাইড্রেট।

গ্যাসের আচরণ:-

বয়েলের সূত্র (বিবৃতি, গাণিতিক রূপ, লেখচিত্র, প্রয়োগ), চার্লসের সূত্র (বিবৃতি, গাণিতিক রূপ, পরম শূন্য উষ্ণতার ধারণা, বিকল্পরূপ প্রতিষ্ঠা, লেখচিত্র), আদর্শ গ্যাসের ধারণা, গে-লুসাকের গ্যাস-আয়তন সূত্র, অ্যাভোগাড্রো প্রকল্প দ্বারা গে-লুসাকের গ্যাস-আয়তন সূত্র প্রতিষ্ঠা, শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা আর্দ্র বায়ু লঘু হওয়ার কারণ, আদর্শ গ্যাসের সমীকরণ প্রতিষ্ঠা ও সংশ্লিষ্ট গাণিতিক সমস্যা, গ্যাসের গতীয় তত্ত্বের স্বীকার্য, গ্যাসের অণুর বেগ ও চাপের উপর উষ্ণতার প্রভাব, আদর্শ গ্যাসের ধর্ম থেকে বাস্তব গ্যাসের বিচ্যুতির কারণ।

রাসায়নিক গণনা:-

রাসায়নিক সমীকরণের সমতাবিধান করতে পারলে এবং মোল সম্পর্কে ধারণা থাকলে যে-কোনো গাণিতিক সমস্যা নির্দ্বিধায় সমাধান করতে পারবে। উক্ত অধ্যায় থেকে সাধারণত তিন ধরণের গাণিতিক সমস্যা পরীক্ষায় এসে থাকে, যথা- ওজন সংক্রান্ত গণনা, আয়তন সংক্রান্ত গণনা এবং মোল সংক্রান্ত গণনা। তবে অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় শতকরা সংযুতি ও অণু/পরমাণুর সংখ্যা নির্ণয় সংক্রান্ত গণনাও পরীক্ষার প্রশ্নে লক্ষ করা যায়, যদিও তার দৃষ্টান্ত খুবই নগণ্য, তবুও সব ধরণের গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মানসিকতা নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করায় শ্রেয়। আমাদের গ্রুপে পরবর্তীকালে এই সম্পর্কে কিছু বিশেষ গাণিতিক সমস্যা ও সূত্রাবলি প্রদান করা হবে।

তাপের ঘটনাসমূহ:-

বিভিন্ন ধরণের প্রসারণ গুণাঙ্কের গাণিতিক রূপ প্রতিষ্ঠা, দ্বিধাতব পাত ও তার ব্যবহার, তরলের প্রকৃত ও আপাত প্রসারণ গুণাঙ্ক এবং উহাদের মধ্যে সম্পর্ক, আদর্শ গ্যাসের ক্ষেত্রে আয়তন ও চাপ গুণাঙ্কের মান, তাপের পরিবহণ সংক্রান্ত সমীকরণের প্রতিষ্ঠা ও তাপ পরিবাহিতাঙ্কের সংজ্ঞা, তাপীয় রোধ ও তড়িৎরোধের সদৃশতার সাধারণ ধারণা (উপযুক্ত গাণিতিক সমীকরণ সহ), তাপ ও তড়িৎ পরিবহণের মধ্যে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য।

আলো:-

গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস, উপাক্ষীয় ও প্রান্তিক রশ্মি, উপাক্ষীয় রশ্মির জন্য গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে r=2f-এর প্রমাণ, গোলীয় দর্পণে রশ্মিচিত্রের মাধ্যমে প্রতিবিম্ব গঠনের কৌশল, গোলীয় দর্পণের ব্যবহার, প্রতিসরণের সূত্রাবলি, প্রতিসরাঙ্কের ধারণা, কাচের স্ল্যাব ও প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণ, লেন্সের আলোককেন্দ্র, লেন্সের অভিসারী ও অপসারী ক্রিয়া, লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস, পাতলা লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠনের কৌশল, মানুষের চোখের দৃষ্টি সমস্যা ও তার প্রতিকার, প্রিজম ও কাচের স্ল্যাবের মধ্যে সাদা আলোর বিচ্ছুরণের তুলনা, স্নেলের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরণের ব্যাখ্যা, একবর্ণী ও বহুবর্ণী আলোকরশ্মি সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্নাবলি, আলোক তরঙ্গের গতিবেগ ও মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক, কশির সমীকরণ, Rahley-র সূত্র ও তৎসংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাবলি।

চলতড়িৎ:-

কুলম্বের সূত্র, আধানের এককের সংজ্ঞা, তড়িৎবিভব ও বিভবপার্থক্যের এককের সংজ্ঞা, তড়িৎচালক বল, তড়িৎচালক বল ও বিভবপার্থক্যের মধ্যে পার্থক্য, তড়িৎপ্রবাহমাত্রার এককের সংজ্ঞা, ওহমের সূত্র ও তা থেকে রোধের ধারণা, রোধের এককের সংজ্ঞা, কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ ও তার সঙ্গে তড়িৎচালক বল এবং প্রান্তীয় বিভবপার্থক্যের সম্পর্ক, নষ্ট ভোল্ট, রোধাঙ্ক, বিভিন্ন ধরণের পরিবাহীর ক্ষেত্রে রোধাঙ্ক ও উষ্ণতার সম্পর্ক, জুলের সূত্র, কার্য-শক্তির ধারণা থেকে জুলের সূত্রের প্রতিষ্ঠা, ফিউজ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির রেটিং ও তার তাৎপর্য, ভাস্বর ল্যাম্প এবং CFL ও LED বাতি, অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম ও দক্ষিণ হস্ত মুষ্টি নিয়ম, চৌম্বকক্ষেত্রের একক, ফ্লেমিং-এর বামহস্ত ও ডানহস্ত নিয়ম, বার্লোচক্রের ঘূর্ণন বেগ ও অভিমুখের নির্ভরতা, বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি বৃদ্ধির উপায়, ফ্যারাডের সূত্রাবলি, লেঞ্জের সূত্র ও তা থেকে শক্তির সংরক্ষণ সূত্রের ধারণা, DC ও AC-এর তুলনা, লাইভ ও নিউট্রাল তার, আর্থিং, তারের কালার কোডিং, আর্থ পিন।

পরমাণুর নিউক্লিয়াস:-

আলফা, বিটা ও গামা রশ্মির তুলনা, নিউক্লিয়াস থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মিগুলির নিঃসরণ, তেজস্ক্রিয়তার একক এবং ব্যবহার, নিউক্লীয় বন্ধন শক্তি, নিউক্লীয় বিভাজন ও সংযোজন এবং ইহাদের প্রয়োগ, শৃঙ্খল বিক্রিয়া, নিউক্লীয় চুল্লি।

পর্যায় সারণি-

মেন্ডেলিভের পর্যায় সূত্র, উপশ্রেণির ধারণা, আধুনিক পর্যায় সূত্র, ক্ষার ধাতু, ক্ষারীয় মৃত্তিকা ধাতু, ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল, হ্যালোজেনস, নোবল গ্যাস, হাইড্রোজেনের অবস্থান, বিভিন্ন পর্যায়গত ধর্ম ও তাদের পর্যায় ও শ্রেণি বরাবর পরিবর্তন।

আয়নীয় ও সমযোজী বন্ধন:-

আয়নীয় বন্ধন সম্পর্কে কোসেলের ধারণা, তড়িৎযোজ্যতা, NaCl-এর অষ্টতলীয় গঠন, লুইস ডট গঠন, সংকেত ওজনের ধারণা, তড়িৎযোজী যৌগ উৎপন্ন হওয়ার শর্ত, সমযোজী ও আয়নীয় যৌগের পার্থক্য, সমযোজ্যতা, সমযোজী যৌগ উৎপন্ন হওয়ার শর্ত। অবশ্যই বিভিন্ন ধরণের তড়িৎযোজী ও সমযোজী যৌগের লুইস ডট/ইলেকট্রন ডট গঠন অনুশীলন করে যাবে।

তড়িৎপ্রবাহ ও রাসায়নিক বিক্রিয়া:-

তীব্র ও মৃদু তড়িৎবিশ্লেষ্যের মধ্যে পার্থক্য, ধাতব পরিবাহী ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য ,কপার সালফেট ও জলের তড়িৎবিশ্লেষণ, অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাষন, তামার বিশুদ্ধিকরণ, তড়িৎলেপন।

পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন:-

অ্যামোনিয়ার সংগ্রহ ও শুষ্ককরণ, লাইকার অ্যামোনিয়া ও তরল অ্যামোনিয়ার মধ্যে পার্থক্য, অ্যামোনিয়ার ক্ষারধর্মিতা, বিজারণ ধর্ম ও ক্ষারকীয় ধর্ম, ঝর্ণা পরীক্ষা, বিলীয়মান রং, নেসলার বিকারক, শিল্প পদ্ধতিতে অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়ার প্রস্তুতি ও ইহার শিল্প ব্যবহার, পরীক্ষাগারে হাইড্রোজেন সালফাইড প্রস্তুতি, ইহার রাসায়নিক ধর্ম ও বিজারণ ধর্ম, নাইট্রোজেনের ব্যবহার, রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা, রাসায়নিক ধর্ম, নাইট্রোলিম, লা ব্লাঙ্ক, সংশ্লেষণ, অসওয়াল্ড ও স্পর্শ পদ্ধতি।

ধাতুবিদ্যা:-

বিভিন্ন ধাতুর ব্যবহার, সংকর ধাতু ব্যবহারের সুবিধা, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংকর ধাতু ও আকরিকের নাম, উপাদান ও সংকেত, খনিজ ও আকরিক সম্পর্কে ধারণা, জারণ-বিজারণ, ধাতু নিষ্কাষনের পদ্ধতিসমূহ, ধাতুর ক্ষয়, ধাতুর ক্ষয় ও মানবস্বাস্থ্যে প্রভাব।

জৈব রসায়ন:-

ইউরিয়া উৎপাদন, জৈব ও অজৈব যৌগের মধ্যে পার্থক্য, ক্যাটিনেশন ধর্ম, সমাবয়বতা, সমগোত্রীয় শ্রেণি, IUPAC নামকরণ, মিথেন, ইথিন, ইথাইন, এলপিজি ও সিএনজি-এর ব্যাবহার, ইথিন ও ইথাইনের শিল্প উৎপাদন, মিথেনের রাসায়নিক ধর্ম:দহন, প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া, ইথিলিন ও ইথাইনের রাসায়নিক ধর্ম, পলিমারের নাম, সংকেত ও ব্যবহার, ইথানল ও ইথানোয়িক অ্যাসিডের ব্যবহার ও রাসায়নিক ধর্ম, ডিনেচার্ড স্পিরিট।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url